Invention in Dream | Pen 021



স্বপ্নে আবিষ্কার

সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ আমাকে ডাকলেন - আমার ঘরে এসো, কথা আছে। ভয়ে ভয়ে ওঁর ঘরে ঢুকলাম।

- শোন, দুপুরে তোমার সার্ভে প্র্যাকটিক্যাল আছে। ছেলে মেয়েদের দিয়ে মাঠে একটা পেন্টাগন সেট করাবে । ঐ যে ঝাঁকরা আম গাছটা আছে, ওখান থেকেই শুরু কোর কেমন ? সব কিছু ঠিক মত করাতে পারবে তো ? নিঃশব্দে ঘাড় নাড়লাম - হ্যাঁ পারবো। আমার দিকে শীতল ভাবে খানিক ক্ষণ তাকিয়ে থেকে মৃদু স্বরে বললেন - ও কে। যাও।

ইনি আমাদের ম্যাম্ -  বিতস্তা ম্যাম্ ।

এখানে এসে এই ক'দিন যা দেখছি সব টিচার ই সলিড প্লেয়ার কিন্তু ইনি যেন ক্যাপ্টেন। ডালে ঝোলে অম্বলে সবেতেই ম্যাম্ । একটা বুড়ো হেড ডিপ আছেন বটে কিন্তু তিনি ঘরের বাইরেে প্রায় বেরোনই না। বলতে গেলে ম্যামই আমার ইমিডিয়েট বস্।

গত বছর পাশ করেছি। দীর্ঘ আট মাস চাকরি না পেয়ে বসেছিলাম। তারপর মাস খানেক হল এই কলেজে জয়েন করেছি। যা পাই তাতে নিজের টা কোন রকমে চলে যায় বটে কিন্তু বেশ বুঝতে পারছি এই মাইনেতে বিয়ে করা যাবে না। তার চেয়েও যেটা বড় কথা - আমার কেমন যেন সন্দেহ হচ্ছে বিয়ে করার মত মাইনে আমি জীবনে কোনদিন পাব কি না। তাই হতাশ হয়ে আমি এখন নিজের লেখা একটা গান নিজেরই সুরে গুনগুন করে গাই। গানটা আপনাদের বলেই দিচ্ছি -

তরী খানি ভাসিয়ে দিলাম ওই স্রোতে
ওগো যখন যেথায় যাবার যাব ঠিক ভেসে ।
কোথায় ছিলাম কোথায় যাব কে জানে
ওগো বেশী ভেবে লাভ নেই - সব সে ই জানে ।।

দুপুরে ছেলে মেয়েদের নিয়ে সার্ভে শুরু করলাম। সব কিছু ওদের খুব সুন্দর করেই বোঝাচ্ছিলাম। এমন সময় হঠাৎ যেন মাটি ফুঁড়ে ম্যামের আবির্ভাব। এবং এসেই এতগুলো ছাত্র ছাত্রীর সামনে আমার দিকে ঝেড়ে একটা বাম্পার।

কি ব্যাপার ? তোমাকে যে বললাম আম গাছের কাছে শুরু করতে, তুমি তো দেখছি হোস্টেলের মেন গেটে এসে গেছ ? কেন ? কথা কানে যাই নি বুঝি ? আমতা আমতা করে বললাম - না মানে আম গাছের তলায় সাপের ভয়, এইখানটা একটু পরিষ্কার, তাই মানে...

আমাকে আরও কিছু হয়তো বলতে যাচ্ছিলেন কিন্তু এক ছাত্রী আমাকে বাঁচিয়ে দিল। ম্যামের নজর ঘোরানোর জন্য বলে বসল - ম্যাম্ আপনি যে সেদিন বলছিলেন স্বপ্নে আবিষ্কার এর গল্প বলবেন তা সেই গল্পটা এইখানে বলবেন ? গম্ভীর স্বরে উনি বললেন - সেটা ক্লাসেই বলব।

কিন্তু ম্যাম্ এটাও তো ক্লাস ই। বলুন না ম্যাম্ । আমরা সার্ভে ঠিক করে দেব। গল্পটা এইখানেই বলুন না ম্যাম - প্লিইইইজ্ । ম্যাম্ একটু ইতস্তত করে বললেন - বোস। আমরা সবাই মাঠে বসে গেলাম। আমি বেঁচে গেলাম।


ম্যাম শুরু করলেন -

মানব সভ্যতার প্রথম দিকে মানুষের কোনও পোষাক ছিল না । ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে লজ্জা এল। এবং লজ্জা নিবারণের জন্য এল পোষাক - প্রথমে গাছের ছাল - তারপর পশুর চামড়া। আস্তে আস্তে মানুষ পশুর চামড়া সেলাই করতে শিখে গেল। পশুর হাড়কে ঘষে ঘষে সরু করে তৈরী হল ছুঁচ আর পশুর নালী গুলো হল সুতো। এটা প্রায় হাজার বিশেক বছর আগের কথা।

তারপর প্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আস্তে আস্তে তৈরী হয়ে গেল সেই ছুঁচ যা আমরা এখন বাড়িতে ব্যবহার করি। আমরা এখন যে ছুঁচ বাড়িতে ব্যবহার করি তার মুখটা খুব সরু আর পেছনে একটা ফুটো। তাই না ? আগে কিন্তু ছুঁচের পেছনে কোন ফুটো ছিল না। তখন তাকে বলত ফোড়ন। ফোড়ন অবশ্য এখনও আছে - মুচিদের কাছে দেখতে পাবে।

মানব সভ্যতার ইতিহাসে অষ্টাদশ শতাব্দী হল শিল্প বিপ্লবের শতক। নানা রকম ভাবে শিল্পের প্রভাব এই সময়ে খুব বেড়ে যায়। 1700 সালের পরে ইউরোপে পোষাক ব্যবসার বেশ রমরমা শুরু হল। কিন্তু সেই সব পোষাক তৈরী হত হাতে। এরপর কম সময়ে আরও বেশী পোষাক কি করে তৈরী করা যায় তার চিন্তা এবং চেষ্টা শুরু হল।

এরই ফলশ্রুতিতে 1755 সালে এল তথাকথিত প্রথম অটোমেটিক সেলাই মেসিন। তৈরী করলেন ইংল্যান্ড প্রবাসী এক জার্মান ইঞ্জিনিয়ার - চার্লস ফ্রেডরিক উইসেন্থাল। এই মেসিনের ছুঁচের বিশেষ একটা বৈশিষ্ট্য ছিল যার জন্য ইংল্যান্ডে এর পেটেন্ট ও তিনি পেলেন। কিন্তু এই মডেল টা খুব চালু হল না। মাঝখান থেকে হল কি সেলাই এর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন এই রকম বহু লোকের মনে কর্মচ্যুতির আশঙ্কায় অসন্তোষ সৃষ্টি হল। কিন্তু তাতে বিজ্ঞানের ভারী বয়েই গেল। কর্মচ্যুতির কথা বিজ্ঞান কি কখনও মনে রেখেছে ?

এরপর থেকে অনেক ব্যক্তির হাত দিয়ে অনেক রকম সেলাই মেসিনই বাজারে আসে। সকলের নাম আমার মনে নেই কিন্তু প্রথম উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি হলেন এক অস্ট্রিয়ান টেলর - যোসেফ্ ম্যাডারস্পার্গার । 1814 সালে তাঁর তৈরী মেসিন সাময়িক ভাবে বেশ আলোড়ন তুলেছিল কিন্তু ধীরে ধীরে তা ফ্লপ করে যায়। এর পনেরো বছর পরে 1829 সালে সাফল্যের মুখ দেখল ফরাসি টেলর বার্থেলেমি থিমোনিয়ার আবিস্কৃত মেসিন। কিন্তু তাঁর দুর্ভাগ্য - সেই মেসিন দিয়ে কারখানা তৈরী করে যখন তিনি ফরাসি সৈন্যদের জন্য ইউনিফর্ম বানানো শুরু করলেন তখন কাজ হারানোর ভয়ে তাঁরই শ্রমিকরা ওই কারখানা আগুন লাগিয়ে পুরো পুড়িয়ে দিল। অনেক কিছুর সাথে থিমোনিয়া সাহেবের ভাগ্যও এই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল।

ততদিনে শিল্প বিপ্লবের ঢেউ আমেরিকাতেও এসে গেছে। আমেরিকায় যাঁরা অটোমেটিক সেলাই মেসিন তৈরী করেন তাঁদের মধ্যে প্রথম উল্লেখযোগ্য নাম হল ওয়াল্টার হান্ট। 1832 সালে তিনি একটা মেসিন বার করেন কিন্তু এর পেটেন্ট তিনি নেননি। কারণ তিনি ভেবেছিলেন তাঁর এই মেসিনের জন্য অসংখ্য লোকের কর্মচ্যূতি হয়ে যাবে। পরে অবশ্য পেটেন্ট তিনি নেন - 1854 সালে কিন্তু ততদিনে অনেক দেরী হয়ে গেছে।


ম্যাম্ ...
গল্পে ছেদ পড়ে গেল। একজন ছাত্র বলে উঠল ...
- একটা কথা বলব ? 
- বল 
- আপনি যে বলছিলেন স্বপ্নে আবিষ্কারের গল্প বলবেন তা এর মধ্যে স্বপ্ন কোথায় ? এগুলো তো সব কে কবে কোন সেলাই মেসিন বার করেছেন তার হিস্ট্রি। এসব জেনে আমরা কি করবো ? 
- আসছে রে বাবা আসছে। দেখনা - স্বপ্ন এইবার আসছে। তবে একটু আধটু ব্যাক গ্রাউন্ড হিস্ট্রি না জানলে বুঝবি কি করে যে আমরা কোথায় ছিলাম আর কিভাবে এই জায়গায় এলাম। চুপ করে শুধু শুনে যা।

ম্যাম্ আবার শুরু করলেন -

এর পরে আমেরিকাতে এলিয়াস হাও বলে এক ভদ্রলোক 1845 সালে একটা বিশেষ মেসিন বার করেন এবং 1846 সালে তার আমেরিকান পেটেন্ট পান। এর নাম হচ্ছে লকস্টিচ মেসিন। আমরা এখন যে ধরনের সেলাই মেসিন ব্যবহার করি সেগুলো এই মেসিনেরই উত্তরসূরী।

খেয়াল করলে দেখতে পাবে আমাদের ঘরের ছুঁচের পেছনে ফুটো কিন্তু সেলাই মেসিনের ছুঁচের মুখে ফুটো থাকে। সেই ফুটোতে সুতো পরানো থাকে। সুতো সমেত সেই ছুঁচ কাপড়ের মধ্যে দিয়ে আপ ডাউন করে এবং সেলাই হয়ে যায়। 1844 সালের ছুঁচে কিন্তু পেছনেই ফুটো ছিল। মুখে ফুটোওয়ালা ছুঁচ তৈরীর কথা তখনকার মানুষ সুদূর কল্পনাতেও ভাবতে পারত না। সেটাই করেছিলেন এলিয়াস হাও। এবং সেই জন্যই বললাম যে আমাদের এখনকার সেলাই মেসিন গুলো হাও এর লকস্টিচ মেসিনের উত্তরসূরী। কি করে হাও এটা করলেন - সেটাই আজকের মূল গল্প কিন্তু তা বলার আগে তাঁর বাকী জীবনটা একটু বলে নিই। তাতে বুঝতে অনেক সুবিধা হবে।

1846 সালে লকস্টিচ মেসিনের পেটেন্ট পাওয়ার বছর দুয়েক পর হাও সাহেব হঠাৎ লক্ষ্য করলেন যে অন্য কিছু কোম্পানি তাঁর আবিস্কৃত মেসিন নকল করে বিক্রি করছে কিন্তু তার জন্য তারা তাঁকে কোন রয়্যালটি দিচ্ছে না। এদের বিরুদ্ধে হাও সাহেব তাই মামলা করেন। তখন তাঁর প্রচন্ড আর্থিক দুর্দশা চলছিল। তবুও অদম্য জেদে 1849 থেকে 1854, এই ছ'বছর ধরে তিনি মামলা চালিয়ে যান এবং পরিশেষে জয়ী হন। এতদিন প্রচন্ড গরীব ছিলেন। এবার মামলা জিতে একসঙ্গে বহু টাকা রয়্যালটি হিসাবে পেয়ে হঠাৎ করে বিরাট বড়লোক হয়ে গেলেন।

তার চেয়ে বড় কথা, 1867 সালে হাও এর আবিস্কৃত মেসিন প্যারিস শিল্প প্রদর্শনীতে স্বর্ণপদক জয় করে এবং হাও সাহেবকে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ সম্মান লিজিয়ন ডি অনার এ ভূষিত করা হয়। তারও চেয়ে বড় কথা হল তৎকালীন ফ্রান্সের সম্রাট সুবিখ্যাত নেপোলিয়ান বোনাপার্ট স্বয়ং তাঁকে এই সম্মানে সম্মানিত করেন।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হল - ওই 1867 সালেই 3রা অক্টোবর নিউইয়র্ক এর ব্রুকলিনে তিনি পরলোক গমন করেন। ম্যাসাচুসেটস এর স্পেনসারে তাঁর জন্ম হয়েছিল 1819 সালের 9ই জুলাই। অর্থাৎ মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র 48 বছর। আমেরিকার কানেকটিকাট শহরে এলিয়াস হাও এর সুসজ্জিত দন্ডায়মান মূর্ত্তি আজও সসম্মানে বিরাজমান।


মেসিনের নেশায় হাও সাহেব নিজের জীবনটাকেই পণ করে ফেলেছিলেন। এক সময় তিনি প্রায় সর্বস্বান্ত হয়ে গেছিলেন। কিন্তু তার পরেও তাঁর এত অর্থ এবং সম্মান প্রাপ্তি - এই সবকিছুর মূলে কিন্তু রয়েছে একটা স্বপ্ন। হ্যাঁ - একটা স্বপ্ন তাঁর জীবনটাকে সম্পূর্ণ উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিল - তাঁকে ভিখারী থেকে রাজা বানিয়ে দিয়েছিল।

আবার ফিরে যাই পুরনো দিনে। 1845। সেই সময় হাও সাহেব মেসিন প্রায় তৈরী করে ফেলেছেন। মেসিন চলছেও ঠিকঠাক। কিন্তু সেই মেসিন ওঁর ঠিক মনঃপূত হচ্ছে না। আমরা হাতে সেলাই এর জন্য এখন যেরকম ছুঁচ ব্যবহার করি - যার মুখটা সরু পেছনে ফুটো - সেই রকম একটা ছুঁচ লাগানো আছে ওই মেসিনে। সেই ছুঁচ কাপড় ভেদ করে ওপাশে চলেও যাচ্ছে কিন্তু তারপর তার মুখটাকে ঘুরিয়ে এপাশে আর আনা যাচ্ছে না। আর এক রকম ব্যবস্থাও তিনি করতে পারছেন। ছুঁচটা আদ্দেকটা নীচে যাবে আবার ওপরে চলে আসবে - মানে ক্রমাগত হাফ আপ ডাউন করবে। কিন্তু তাতে তো সুতোটার আর ওপাশে যাওয়া হল না। অর্থাৎ কিনা সেলাই এর কাজটাই হল না। এটাই ছিল সেই সময়ে হাও সাহেবের সমস্যা।

এই সমস্যা সমাধানের জন্য হাও সাহেব উঠে পড়ে লেগেছেন। দিন রাত জেগে তিনি তাঁর ওয়ার্কশপে পড়ে থাকেন। স্নান খাওয়া দাওয়া মাথায় উঠেছে। জমানো টাকা পয়সা সব শেষ। সম্পত্তি টম্পত্তি বিক্রি হয়ে গেছে। এবার শুধু ঘটি বাটি বিক্রি হতে বাকি। এখন তিনি পাগলের মত নিজের মনে শুধু বিড়বিড় করেন - ছুঁচের ফুটো ছুঁচের ফুটো। এমন সময় হঠাৎ একদিন ঘটল সেই অবিস্মরণীয় স্বপ্নের ঘটনা। হতাশ এবং ক্লান্ত সাহেব গভীর রাতে বিছানায় শুয়ে ভাবছেন - এ জীবন রেখে আর লাভ কি, এবার তাঁর মরা ই ভালো। ছুঁচের ফুটো ছুঁচের ফুটো ...

এক সময় তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন ...

ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে হাও সাহেব দেখলেন - এক পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা জংলীদের দেশে তিনি গিয়েছেন এবং বিনা অনুমতিতে প্রবেশের অপরাধে সেখানে বন্দী হয়ে গেছেন। সেখানকার রাজা তাঁকে এক দিনের মধ্যে একটা অটোমেটিক সেলাই মেসিন তৈরী করার আদেশ দিয়েছেন এবং বলেছেন না পারলে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। সেই এক দিনের সময় সীমা পার হয়ে গেছে এবং হত্যা করার জন্য তাঁকে জঙ্গলের মধ্যে একটা খোলা জায়গায় আনা হয়েছে। তাঁকে দাঁড় করিয়ে তাঁর হাত দুটোকে দুপাশে দুটো গাছের ডালে বেঁধে রাখা হয়েছে। এবার দেখলেন - রাজার নির্দেশে দুটো সৈন্য দুটো বর্শা নিয়ে তাঁর দিকে এগিয়ে এল। তারপর একজন তার হাতের বর্শাটাকে সড়াক করে তাঁর পেটে ঢুকিয়ে দিল আবার সড়াক করে বার করে নিল। এরপর দ্বিতীয় জন তার বর্শাটাকে একই ভাবে তাঁর গলায় ঢুকিয়ে দিল আবার বার করে নিল। এরপর ওই সৈন্য দুটো ক্রমাগত তাঁর পেটে বুকে গলায় একই ভাবে বর্শা ঢোকাতে আর বার করতে লাগল। ঠিক এই সময় - ঠিক এই সময় হাও সাহেব পরম বিস্ময়ে লক্ষ্য করলেন - যে বর্শা দুটো ওরা ঢোকাচ্ছে এবং বার করছে সে দুটোর ঠিক মুখের কাছে ইয়া লম্বা আর সামান্য চওড়া ম অ স্ত বড়ো একটা ফুটো।

ধড়াস্ করে সাহেবের ঘুম ভেঙ্গে গেল। ঘেমে একেবারে চান করে গেছেন। ঘড়িতে দেখলেন ভোর চারটে বাজে। ঐ ভোর চারটেতেই ছুট লাগালেন ওয়ার্কশপের দিকে - শোয়ার পোষাক পড়েই। ছুটতে ছুটতে নিজের মনে চিৎকার করতে লাগলেন - ছুঁচের ফুটো পেছনেই থাকতে হবে এর'ম কি কোনও কথা আছে নাকি ? একটা ছুঁচের ফুটোকে পেছন থেকে সামনে আনার বুদ্ধিটুকুও আমার হল না ? পানিশ মি গড্ পানিশ মি।

সকাল ন'টার মধ্যেই তৈরী হয়ে গেল লকস্টিচ মেসিন। সফল হল এক স্বপ্নের আবিষ্কার। স্বপ্নে আবিষ্কার ...

ঘড়িতে এখন পাঁচটা পাঁচ। এদিকে আমাদের সার্ভের বারোটা পাঁচ। আমরা সবাই নিস্তব্ধ - বাকরুদ্ধ। পড়ন্ত সূর্যের গোধূলি আলো ম্যামের উজ্জ্বল মুখটাকে করে তুলেছে আরও উজ্জ্বল। সেই উজ্জ্বল মুখের দিকে আমরা সবাই মুগ্ধ অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম ...


Acknowledgement:
Relevant information have been taken from
https://en.m.wikipedia.org
I express my gratitude to Wikipedia.

Please Comment, Share and Subscribre


Comments

Popular Posts